
shershanews24.com
প্রকাশ : ১৬ মে, ২০২৫ ০৭:১৭ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ, ঢাকা: “আওয়ামী লীগের শিথিলতা দেশের জন্য এক ভয়ানক সংকট ডেকে এনেছে। বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ওপর নজরদারি চালিয়ে এসেছে, যা ফ্যাসিবাদীর ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে ।” নয়তো বিটিআরসি ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসিকে আওয়ামী স্বৈরাচারমুক্ত করার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী জুলাই নেটওয়ার্ক’ নামে একটি সংগঠন।
ফরহাদ মজহার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে, এটাকে আমরা সমর্থন করি। এখন সরকারের কাজ হলো ফ্যাসিস্ট শক্তির সহযোগী ইন্টারনেট ও টেলিকম প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা। এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে আমরা বিটিআরসির সামনে অবস্থান নেব।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। আপনাদের প্রথম কাজ জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। কিন্তু আপনারা এই ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে এখনও কোনো প্রক্রিয়া শুরু করেননি, টালবাহানা করছেন। বিভিন্ন এলিট কমিশন গঠন করে আমাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের জনগণের এটা বোঝার মতো বুদ্ধি রয়েছে।”
এই কবি ও চিন্তক বলেন, “বিভিন্ন দাবিতে যখন আন্দোলন তৈরি হচ্ছে, তখন আপনারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে, তরুণদের বিরুদ্ধে নানা রকম প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। আপনাদের এজেন্সি ছাত্রদের মধ্যে বিভক্তি তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আপনার ভাববেন না, এটা বোঝার মতো কাণ্ডজ্ঞান জনগণের নেই। ছাত্রদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে যেসব এজেন্সি কাজ করছে আমরা তাদের চিনি। তাদের বলব, জনতার কাতারে দাঁড়াতে। ছাত্রদের বলব, তথাকথিত মতাদর্শিক তর্ক করে নিজেদের মধ্যে বিরোধ বাড়াবেন না। এটা ফ্যাসিস্টদের কৌশল।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক জাহিদ জগৎ, কবি মোহাম্মদ রোমেল, জাতীয় নাগরিক পার্টির নাফিউল ইসলাম প্রমুখ।
(শীর্ষনিউজ/ক.ম)